0 Comments

n
n
nঅনেকদিন আগে থেকেই ভাবছি “মনের মানুষ নিয়ে । চলচিত্রের সমালোচনা করার সাহস বা মেধা যাই বলি না কেন,তা আমার নেই। আমি শুধু একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার মতামত প্রকাশ করতে পারি। আর কার কেমন লাগল জানি না, আমার কিন্তু ভীষণই ভাল লেগেছে। গানগুলো তো অসাধারন। যদিও লালনের মনের মানুষের দর্শন অনেক কঠিন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ও বোধহয় এর চেয়ে সহজভাবে বলা হয়েছে। কিংবা প্লেটোর “নিজেকে জান” নীতি ও সোজা মনে হয়েছে। ব্যাখ্যাটা বোধহয় আরও সোজা হতে পারত।
n
প্রসেনজিত নিজেকে কখনো ছাড়াতে পারেন না, তাতে অবস্য মনের মানুষের কোন ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। চঞ্চল এর অভিনয় স্বভাবসুলভ। পাওলী তো পাওলী ই।সবচেয়ে ভাল লেগেছে সিনেমাটগ্রাফি। আসলে মনের মানুষ নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। বলেন এটা ঝিমানো ছবি,কোন উত্তেজনা নেই ইত্যাদ.। তাদেরকে বলছি এটি একটি মানব মনের আত্মানুসন্ধানের ছবি। লালনের মত সন্যাসী যিনি সুরের সাধনায় আত্মার অনুসন্ধান করে গেছেন আজীবন, ধ্যান আর গান যার কর্ম, তার জীবনী সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হলে দর্শককেও কিছুটা ধ্যানস্থই হতে হবে। প্রশান্ত চিত্তে শিশুতোষ কৌতুহল নিয়ে তার জীবন দর্শনকে বোঝার মন মানসিকতা বজায় রেখে সিনেমা হলে যেতে হবে। উত্তেজনার প্রশ্নই নেই এখানে। অতএব যারা এসব কথা বলে তারা এরকম উচ্চতর দর্শন সম্বলিত চলচিত্র দেখার জন্য এখনো মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়ে পারেনি। তাদের জন্য শাহরুকীও মাসালা মুভি ই ভাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts