0 Comments

n

n

n

nআজকাল প্রকৃতি আমাকে ভীষনভাবে ভাবাচ্ছে,নাড়া দিচ্ছে। হৃদয়কে বারবার ভারাক্রান্ত করছে। ঢাকা শহরকে দেখলে একজন সচেতন মানুষের এমন অনুভূতি হতে বাধ্য। ঢাকা শহরে প্রকৃতি বলতে কিছু নেই। এ শহরে প্রকৃতি বলতে বোঝায় হাজার হাজার ইট, কাঠ খাঁচার জংগল,লক্ষ লক্ষ গাড়ির হর্নসমেত কালো ধোয়া,উত্তপ্ত বালু ধূলিময় রাস্তা এবং সর্বোপরি সূর্যদেবের বিস্ফোরিত দেহ থেকে আগুনের হল্কাসমেত ধেয়ে আসা নিরুপায় স্তব্ধ বাতাস। মানুষ যে কিসের নেশায়,কিসের আশায় নিজেকে ভুলে,নিজেকে ধ্বংসের পথে এভাবে ঠেলে দিচ্ছে কে জানে! চারপাশে শুধু অন্ধদের বিচরণ। কেউ বুঝতে পারছে না যে এই মুহূর্তে যদি উদ্যোগী না হওয়া যায় ভবিষ্যতে টাকার সমুদ্র বইয়ে দিলেও বিনিময়ে শুধু হাহাকার ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা মানুষ। হ্যা,একটুখানি বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য হাহাকার করতে হবে। সেই দিন আর দূরে নয়। কংক্রিটের চার দেয়ালের আয়তন এত ছোট যে সেগুলোকে আদর্শ খাঁচা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। না ঢোকে পর্যাপ্ত আলো,না ঢোকে পরিমানমত মুক্ত বাতাস। সর্বত্র দমবন্ধ একটা বদ্ধ পরিবেশ। এখানকার মানুষ বিশুদ্ধ বাতাসের কথা ভুলে গেছে। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আপাত স্বার্থে এ শহরের মানুষগুলো গাছ কেটে সব সাফ করে দিয়ে ১টার পর ১টা তুলছে অট্টালিকা। যা ও আছে প্রায় হাতেগোনা তার বদৌলতে যে তারা বেঁচে আছে সেটাও তারা বুঝতে পারছে না স্বার্থের অন্ধ নেশায়। একদিন হয়তো তাদের ও ভাবাবে এই পরিস্থিতি কিন্তু তখন আর সময় থাকবেনা।

n

nআমাদের দেশে অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন। কিন্তু তারা রাজনৈতিক সব ভারী আর উদ্দেশ্যমূলক চিন্তায় ই মেতে থাকেন। অথচ শহরের এমন পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে তাদের এবং কারোর ই কোন মাথা ব্যাথা নেই।

n

nঢাকা শহরের অবস্থা আজ সেই ব্রেক হারানো বাসের মত যেটি প্রচন্ড গতিতে খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষন পর্যন্ত না প্রান্ত অতিক্রম করে সোজা নিচের দিকে আছড়ে পড়বে ততক্ষন পর্যন্ত মানুষের টনক নড়বেনা। কিন্তু যখন নড়বে সৃস্টিকর্তা ছাড়া ১টি প্রাণীকেও কেউ বাঁচাতে পারবেনা।

n

nপ্রথম প্রকাশঃ ০৩ রা মে, ২০১০ রাত ১১:০৫ 

n

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts